গেল ৫ দিনে ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজারে পৌঁছেছে । দুই দেশের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর জানায়, এ পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে মোট ২৩ হাজার ৭১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তুরস্ক থেকে ২০ হাজার ২২৩ এবং সিরিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।
ভূমিকম্পের পর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন তুরস্ক ও সিরিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা। পরে বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী সদস্যরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন । বিপর্যয়ের ব্যাপকতা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
এখনও তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন শহরের ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে।
আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা।
উত্তর সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণের অভাবে চরম সঙ্কটে আছেন। ভূমিকম্প আঘাত হানার চার দিন পরও পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছায়নি সেখানে।
বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়, উত্তর সিরিয়ার একটি হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোহাম্মদ হাসাউন জানান, এখন তাদের কাছে যে চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে তা দেশের উত্তরাঞ্চলের ২০ শতাংশ মানুষের চাহিদাও পূরণ হবে না।
সরকার ও বিদ্রোহী—দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের ছয়টি ট্রাক তুরস্ক সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে এবং এটি উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছানো প্রথম আন্তর্জাতিক সহায়তা।
৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং অনেকগুলো আফটারশক পরে হয়।
মাহফুজা ১১-২