রাশিয়ার সেনাবাহিনী নতুন করে আবারও বড় হামলা চালানো শুরু করেছে ইউক্রেনের ওপর । ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান খবরটি নিশ্চিত করেছে।
দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, জাপোরিঝিয়ায় রুশ সেনারা এক ঘণ্টার মধ্যে ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে । গেল বছর সামরিক অভিযান শুরুর পর এটিই জাপোরিঝিয়ায় একদিনে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
ভোরে এছাড়া খারকিভেও হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এরপরই পুরো ইউক্রেনে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পোপকো এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বড় হুমকি রয়েছে এবং কেউ সতর্কতা উপেক্ষা করবেন না।’
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা অ্যান্টন গেরাশেঙ্কো জানান, ‘রাশিয়ার বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি রয়েছে এবং সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।’
রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান জাপোরিঝিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তারা।
বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায় ‘শত্রুরা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও শহরে হামলা চালিয়েছে। আজভ সাগর থেকে ইরানের তৈরী সাতটি কামিকাজে ড্রোন এবং কৃষ্ণ সাগর থেকে ছয়টি কালিবার ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রুশ সেনারা বলে জানায় ইউক্রেনের বিমানবাহিনী ।
তারা পাঁচটি ড্রোন এবং পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সমর্থ হয়েছে বলে দাবী করে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী।
লুহানস্কের গভর্নর সের্হি হাইদে জানান, ক্রেমিন্না শহরে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ভেদ করার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা এবং এ কারণে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।
জাপোরিঝিয়া এবং খারকিভে ৩৫টিরও বেশি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া।
পূর্ব দিকের ডনবাসের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য হামলা চালানো শুরু করেছে রুশ সেনারা।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা এক প্রতিবেদনে জানায়, ডনবাসের বাখমুত ও ভুহলেদার শহরেও সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী। বিশেষ করে ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুতে ইউক্রেনের প্রতিরোধ ভেদ করে ৩-৪ কিলোমিটার সামনে এগিয়েছে। ভুহলেদারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে রুশ বাহিনী। কারণ সেখানে তুলনামূলক কম দক্ষতাসম্পন্নদের পাঠানো হয়েছিল বরে জানায় ব্রিটিশ গোয়েন্দারা ।
মাহফুজা ১০-২