১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের মেয়েরা

    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের মেয়েরা। দুরন্ত, দুর্দমনীয়, অপ্রতিরোধ্য সব  বিশেষণই যেন প্রযোজ্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দলের মেয়েদের বেলায়।

    আজ কমলাপুর স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

    ভুটানি রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সাথেসাথেই  কমলাপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকের উল্লাস। ডাগআউট থেকে কোচিং স্টাফরা ছুটছেন মাঠে। আর শামসুন্নাহাররাও ছুটছেন মাঠজুড়ে।

    গেল বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে বিজয়ের পতাকা উড়ান সাবিনা-কৃষ্ণারা। সাড়ে ৫ মাসের ব্যবধানে এবার ঢাকায় বিজয়ের পতাকা ওড়ালেন সাবিনাদের অনুজ শামসুন্নাহার জুনিয়র-রূপনা চাকমারা।

    সিনিয়র নারী সাফের পর অনূর্ধ্ব-২০ সাফেও চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা। কাঠমান্ডুর মতো ঢাকার ফাইনালেও প্রতিপক্ষ সেই নেপাল।

    প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে বাংলাদেশ। ৮৬ মিনিটে শাহেদা আক্তার  বক্সের একটু সামনে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি কিক নেন। ক্রসবারের সামনে থাকা উন্নতি খাতুন টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান। বাংলাদেশ আরেকবার উল্লাসে মাতে।

    নেপাল দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। গোলরক্ষক পরিবর্তন করেও বাংলাদেশের গোল রুখতে পারেনি নেপাল। বিগত তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা তিনটি সেভ করেন।

    ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট ছিল প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট। ঐ পাঁচ মিনিটে বাংলাদেশ দুই গোল পায়। ৪২ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপা ও ইনজুরি সময়ে অধিনায়ক শামসুন্নাহার আরেকটি গোল করেন।

    বাংলাদেশ ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ করছিল। সফরকারী নেপাল বাংলাদেশের আক্রমণ ভালোভাবেই রুখে যাচ্ছিল। ৪২ মিনিটে নেপাল স্বাগতিকদের গোল বঞ্চিত করতে পারেনি। বাংলাদেশের সংঘবদ্ধ আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে নেপালের ডিফেন্ডার কুমারী তামাং রিপার পায়ে বল তুলে দেন। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে রিপা আড়াআড়ি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।

    মিনিট তিনেক পর বাংলাদেশকে আরেকবার আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। আফিদার বাড়ানো বল নেপালী ডিফেন্ডাররা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। বাংলাদেশের অধিনায়ক সুযোগ সন্ধানী ফরোয়ার্ডের মতো বল নিয়ে জোরালো শটে গোল করেন।

    ম্যাচের শুরুটাও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে ছিল । ২ মিনিটে বাংলাদেশের অধিনায়ক শামসুন্নাহারকে বাড়ানো বল ঠেকাতে নেপালের গোলরক্ষক পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেনএবং  গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বল আকলিমার কাছে যায়। গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে পাঠানো বল পোস্টের উপর দিয়ে যায় এবং ঐ মিনিটেই বাংলাদেশ কর্ণার আদায় করে। দশ মিনিটের মধ্যে কয়েকটি কর্ণার আদায় করে স্বাগতিক দল।

    ১৫ মিনিটের মধ্যে চোট পেয়ে নেপালের ফুটবলারকে সাইডলাইনে যেতে হয়। সে সুস্থ না হওয়ায় খেলোয়াড় বদল করতে বাধ্য হন নেপালী কোচ। ২২ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় নেপাল এবং  ৩৬ মিনিটে নেপাল ভালো আক্রমণ করে। বাম প্রান্ত থেকে নেপালের সেই আমিশা কারকির শট পোস্টের একটু পাশ দিয়ে যায়।

    নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তারা। এরপর ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। তৃতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৫-০ গোলে হারায় তারা।

    টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনাল খেলতে নেমে বাংলাদেশ নেপালকে আরেকবার হারালো । ২০১৮ সালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা, আগের আসর হয়েছিল ২০২১ সালে, যেখানে ভারতের বিপক্ষে দল জিতেছিল ।

    বাংলাদেশ একাদশ হলো–রূপনা চাকমা, শামসুন্নাহার, নাসরিন আক্তার, সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, সোহাগী কিসকু, স্বপ্না রানী, মাহফুজা খাতুন (উন্নতি খাতুন), শাহেদ আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন (আইরিন খাতুন) ও ইতি খাতুন।

    মাহফুজা ৯-২

     

     

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর