রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম শিরোপার আরও কাছে এগিয়ে গেল । বুধবার রাতে সেমিফাইনালে তারা ৪-১ গোলে হারিয়েছে মিশরের ক্লাব আল আহলিকে।
আগেরদিন অঘটন ঘটায় সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। লাতিন চ্যাম্পিয়ন, ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে দিয়ে উঠে ফাইনালে। তবে মিসরীয় ক্লাব আল আহলি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আর অঘটন ঘটাতে পারেনি । ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের কাছে রহরে যায় তারা।
রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি আল আহলির বিপক্ষে একাদশে কয়েকজন মূল খেলোয়াড়কে রাখতে পারেননি। ইনজুরির কারণে করিম বেনজেমা, গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া ছিলেন না । তবুও, রাবাতের প্রিন্স মৌলায়ে আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম হয়ে উঠেছিলো যেন রিয়ালের হোম ভেন্যু। গ্যালারিপূর্ণ দর্শক পুরোপুরিই রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকে পরিণত হয়।
রিয়ালের হয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, ফেদেরিকো ভালভার্দে, আরিবাস এবং রদ্রিগো।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে থাকলেও, ম্যাচের প্রথম গোল পেতে অবশ্য রিয়ালকে বেশ বেগ পেতে হয়। ম্যাচের ৪২ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
অবশেষে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের অসাধারণ গোলে মিশরীয় ক্লাবটির প্রতিরোধ ভেঙে দেয় লজ ব্লাঙ্কোজরা। আল আহলির আলিউ দিয়েঙ একটি দুর্বল পাস দেন মাহমুদ মিতওয়ালিকে। যেখানে ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং বলটি সহজেই নিয়ন্ত্রনে নেন তিনি। এরপরই গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বলটি তিনি পাঠিয়ে দেন আল আহলির জালে। রিয়ালের হয়ে ২০২ ম্যাচে ৫০ তম গোল করলেন এই ব্রাজিলিয়ান খেলোয়ার ।
ফেদেরিকো ভালভার্দে দ্বিতীয় হাফের শুরুর মিনিটেই দলের লিড দিগুণ করেন । এরপর ম্যাচের ৬৫ মিনিটে অবশ্য পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করেন আল আহলির ডিফেন্ডার আলী মালউল।
রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় । তবে মদ্রিচের নেয়া পেনাল্টি ঠেকান আল আহলি গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল-শেনাউই। কিন্তু যোগ করা সময়ে দুইটি গোল করে রিয়ালনিজেদের পঞ্চম শিরোপার আরও কাছে চলে যায় ।
৯২ মিনিটে রদ্রিগো গোল করার ছয় মিনিট পর দলের চতুর্থ গোলটি করেন সার্জিও আরিবাস। এ নিয়ে পঞ্চমবার ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো রিয়াল মাদ্রিদ এবং প্রতিবারই ফাইনালে উঠে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে স্পেনের জায়ান্টরা।
এদিকে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে ৩-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে সৌদি আরবের দল আল হিলাল।
মাহফুজা ৯-২