প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় নির্মিত নতুন তিনটি রেলপথ উদ্বোধন করেছেন । বৃহস্পতিবার তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই রেলপথগুলো উদ্বোধন করেন ।
এতে রেলওয়ের তিন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হওয়া আরও ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার রেলপথ যুক্ত হলো।
এসময় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানের অন্য প্রান্তে কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর, পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর এবং টঙ্গী ও জয়দেবপুর সেকশনে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা ।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে ৩২কিলোমিটার , ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল এবং পাবনার ঈশ্বরদী রূপপুর রেলস্টেশন, নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার রুটে লুপ লাইনসহ নির্মাণ করা হচ্ছে ১১৬ কিলোমিটার রেলপথ । এর প্রকল্পে ১১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
রূপপুর স্টেশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে ।এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের জন্য নির্মিত রেলপথসহ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনও চালু হলো। এই স্টেশন দিয়ে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহার করা হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন এবং স্টেশন রয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, সরকার সারাদেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করছে । গেল ১৪ বছরে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর বক্তব্য রাখেন।
মাহফুজা ৯