নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু হলো।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, বুধবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।
এদিন কারাগারে থাকা ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত হন।তবে জামিনে থাকা ইরফান সেলিম উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত অভিযোগ পড়ে শোনালে জাহিদুল, মীজানুর ও দীপু নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। ইরফান সেলিম ও রিপন আদালতে উপস্থিত না থাকায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এসময় ধানমন্ডিতে হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দু’-তিন জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মমিনুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মাহফুজা ৮-২