২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো সাত হাজার ৮০০ জনে

    তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো  সাত হাজার ৮০০ জনে।

    এর মধ্যে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।

    ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার সদস্য।

    ভূমিকম্পে দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। দুই দেশে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচেও থাকছে। অনেক এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।

    বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।

    ইস্তাম্বুলের একজন তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোলু বলেছেন, এখনও অনেকে ভবনের নিচে রয়েছে, তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।

    তুরস্কে দুর্ঘটনার ৩৩ ঘণ্টা পর এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গুল ইনাল নামের ওই চার বছরের শিশুটি ভূমিকম্পের সময় ৩ তলা ভবন ধসে প্রথম ফ্লোরে চাপা পড়েছিল। মঙ্গলবার ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

    সোমবার ভোরের দিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তর সিরিয়ার বেশ কয়েকটি শহর তছনছ হয়ে যায়। ২ হাজারের বেশি ভবন ধসে চাপা পড়ে বহু মানুষ।

    ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে মঙ্গলবার রাতভর উদ্ধার অভিযান চলতে থাকে। উদ্ধারকারীরা বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কেননা সময় যত গড়াচ্ছে, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ফুরিয়ে যাচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ৯ হাজার সেনাসহ অন্তত ১২ হাজার উদ্ধারকারী কাজ করছেন তুরস্কে। ৭০টির বেশি দেশ উদ্ধারকারী দল ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

    সোমবার ভোরে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্পে। ইউএসজিএস জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।

    মাহফুজা ৮-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর