পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বেড়েই চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। জানুয়ারিতে দেশটির ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ২৭ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে। যা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বর্তমানে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদে পৌঁছেছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পাকিস্তান যে ঋণ চেয়েছে, কঠিন শর্ত দেওয়ার কারণে সে বিষয়ে আলোচনা স্থবির রয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিদল আবার আলোচনা শুরু করতেই দেশটিতে গেছে।
পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরাত দিয়ে দ্য ডন জানিয়েছে, ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ভোক্তা মূল্য সূচকের মাধ্যমে ভোক্তাদের ব্যয় এবং সেবার ওপর নির্ভর করে মাস থেকে আরেক মাসের মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করা হয়।
পরিসংখ্যান ব্যুরো আরও জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ গত এক বছরে, শহুরে এলাকায়।৩২ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়েছে গ্রামাঞ্চলে। এছাড়া মূল মূল্যস্ফীতি, শহুরে এলাকায় ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যেটিতে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যটি অন্তর্ভুক্ত নয়।
পাকিস্তানের বিনিয়োগকারী সংস্থা আরিফ হাবিব লিমিটেডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি এত বেশি ছিলবেড়েছিল ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ ।
মধ্যস্থতাকারী কোম্পানি টপলাইন সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ সোহাইল বলেছেন, রুপির দরপতন, ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া এবং কর বৃদ্ধির পরই বোঝা গিয়েছিল মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
পাকিস্তানে এর আগে মূল্যস্ফীতি এত বেশি ছিল ১৯৭৫ সালে। সে বছর মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ইতোমধ্যে পাকিস্তানে আকাশ ছুঁয়েছে আটা, কলাই, মুগ ডাল, ছোলা ডাল, পেঁয়াজ, মুরগি, চালের আটা, বেসন, সরিষা তেল, মাসের ডাল, মশুর ডাল, তাজা ফল, রান্নার তেল, খাঁটি দুধ, ঘি, টমেটো, মাছ, মাংস, তাজা সবজি, চিনি এবং আলুর দাম।
আশঙ্কা করা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে আরও বাড়বে বলে।মূল্যস্ফীতির শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের। মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে আইএমএফ ঋণ দিতে সম্মত হয়।
মাহফুজা ২-২