২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এসেছি, ছিনিমিনি খেলতে আসিনি- প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানালেন  জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে ক্ষমতায় আসেনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাতাল মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ঢাকার যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আমরা সেটা করেছি। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এখানে অনেকগুলো প্রকল্প কাজ চলমান। পূর্বাচল স্মার্ট সিটি হবে এবং নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

    এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী না সবথেকে বড় কথা আমি জাতির পিতার কন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আমার কাজ। সেটাই আমি করে যাচ্ছি।’

    পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এসেছি। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি।’

    দুর্নীতির প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। যতই আন্দোলন করুক কেউ কিছু করতে পারবে না যতদিন জনগণ আমাদের সাথে আছে।

    আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সমেয় দেওয়া ইশতেহারগুলো একেএকে পূরণ করছে জানিয়ে দলের সভাপতি বলেন, আমাদের প্রতিশ্রুতি একেএকে সব বাস্তবায়ন করছি। আমরা রূপকল্প ২১ বাস্তবায়ন করেছি। ২০১৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও আমরা বাস্তবায়ন করছি। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেটা সম্ভব হয়েছে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায়। এ কারণে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। এ ছাড়াও ২১০০ সাল পর্যন্ত আমরা ডেলটা প্ল্যান করে দিয়েছি, যেন এই বদ্বীপ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়। এভাবেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এ অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ থামাতে পারবে না।

    রাজধানীতে মোট ছটি মেট্রোরেল হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লাইনগুলো করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ফিজিবিলিটি স্টাডিও শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে তিনটি মেট্রোরেল লাইন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলো হলো এমআরটি-১, এমআরটি-২ এবং এমআরটি-৪।

    তিনি আরও বলেন, করোনার সময় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি। কোনো ধনী দেশ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না।

    শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সাশ্রয়ী হোন। কোনো জায়গা খালি রাখবেন না এবং যেখানে যা পারেন তা চাষাবাদ করেন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন।

    এ সময় তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

    মাটির তলদেশের মেট্রোরেল গঠনের কাজ করার সময় কোনো জনদুর্ভোগ হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নির্মাণকাজ চলবে। পাতাল রেল স্ট্রেশন হবে অত্যাধুনিক।

    এ সময় দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকে দেশের ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। জাইকার সহয়তায় এই নির্মাণকাজ চলবে জানিয়ে তিনি জাপান সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।

    মাহফুজা ২-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর