ঝকঝকে সোনালি রঙয়ের ট্রফিটা তাকে বেছে নিয়েছিল বরে লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ জিতেছেন । আর্জেন্টিনার তারকা সোমবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে এই বিশ্বাসের কথা জানান।
অবিশ্বাস্য এক ফাইনাল দেখেছে ফুটবল বিশ্ব! ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের স্বাদ আবারও পেলো লিওনেল মেসির হাত ধরে এবং বিশ্বের সেরা এই ফুটবলারের স্বপ্নও পূর্ণতা পেল।
ক্যারিয়ারে এতসব অর্জন এই পিএসজি ফরোয়ার্ডের; শুধু বিশ্বকাপই অধরা ছিল। ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গেল মাসের ফাইনালে দুটি গোল ও শুটআউটের লক্ষ্যভেদে দেশকে তৃতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩ গোলের পর টাইব্রেকারে জেতেন তারা।
মেসির এই মহান অর্জন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। তিনি জানতেন, ঈশ্বর স্বপ্নের এই বিশ্বকাপ তার হাতেই দেবেন। শুরুতে হেরে ধাক্কা খাওয়া; তারপরও জানতেন মেসি, এই শিরোপা তিনিই পাবেন।
পিএসজি ফরোয়ার্ড আরও বলেন, ‘সে নিজে থেকেই চেয়েছিল, এবং অবশেষে এসেছে। এই শিরোপার দিকে তাকান, কি দারুণ। আমরা অনেক কষ্ট করেছি, এবং শেষ পর্যন্ত পেরেছি।
আর্জেন্টাইন আরবানা প্লে রেডিও স্টেশনকে মেসি বললেন, ‘কাপটা আমাকে ডাকছিল, এটা আমাকে বলছিল: আসো, আমাকে জড়িয়ে ধরো। এখন তুমি আমাকে ছুঁতে পারো।’
ট্রফির সামনে কতটা আবেগ কাজ করেছিল মেসির মনে, সেটা প্রকাশ পেলো একটি কথায়, ‘আমি দেখলাম সুন্দর স্টেডিয়ামে এটি জ্বলজ্বল করছে। এটাকে চুমু দিতে আমি কোনো দ্বিধা করিনি।’
২০১৪ সালের ফাইনালে জার্মানির কাছে হার। অবশেষে নিজের পঞ্চম ও শেষ বিশ্বকাপে উঁচিয়ে ধরলেন বহুল আকাঙ্ক্ষিত ট্রফি। কোপা আমেরিকার ফাইনালে তিনবার হারের পর ২০২১ সালে সিনিয়র পর্যায়ে প্রথম ট্রফি জেতেন মেসি। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ ছিল অনন্য, ‘অনেক কষ্টের পর, অনেক ফাইনাল হারের পর ঈশ্বর এটা আমার জন্য রেখে দিয়েছিলেন। আমি জানতাম তিনি এটা আমাকে দেবেন। আমার মধ্যে এই অনুভূতি হতো।’
মেসি বিশ্বকাপ জিতে অর্জনের খাতা পরিপূর্ণ করেছেন । আর কিছুই বাকি নেই তার পাওয়ার, ‘এই তো, আর কিছু বাকি নেই। আমি জাতীয় দল, বার্সেলোনার সঙ্গে সবকিছু অর্জন করেছি, ব্যক্তিগতভাবেও।
মাহফুজা ৩১-১