নিউ জিল্যান্ডের ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ক্রিস হিপকিন্স। তিনি দেশটির সদ্য সাবেক নেতা জেসিন্ডা অরডার্নের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র। ডয়চে ভেলে জানায় খবরটি।
বুধবার ওয়েলিংটনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান ৪৪ বছর বয়সি এ রাজনীতিক।
দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন ক্রিস হিপকিনস। প্রধানমন্ত্রী পদে দলের মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি হওয়ায় তিনিই এখন দেশটির কর্ণধার।
শপথ নিয়ে ক্রিস বলেছেন, ‘জীবনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে চলেছি। কথা দিচ্ছি, সমস্ত দায়িত্ব সম্পূর্ণ গুরুত্বদিয়ে পালন করার চেষ্টা করবো।’
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার মধ্যে আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে জয়ী করার জন্য লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে ৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনসকে।
অরডার্ন আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে হতভম্ব করে ক্ষমতা ছাড়ার এক সপ্তাহ পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন হিপকিন্স।
দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ‘শক্তি আর নেই’ এমনটি জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন অরডার্ন। তার আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র বুধবার গ্রহণ করেন নিউ জিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো।
ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব পান করোনাবিষয়ক মন্ত্রীর। পরে বদল করা হয় তার দপ্তর।
কারমেল সেপুলোনিও দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
অরডার্ন সরকারের কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার নেওয়া উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়ে মন্ত্রী হিসেবে নিজের একটি ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন হিপকিন্স। সেই ভাবমূর্তিতে ভর করে এবার তিনি দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌঁছে গেলেন।
২০২০ সালে দেশটির ৫৩ তম জাতীয় নির্বাচনে ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন জেসিন্ডা আরডার্ন। এর আগে ৩৭ বছর বয়সে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী সরকার প্রধান হওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
মাহফুজা ২৫-১