বিদ্যমান কার্যকর ইভিএম দিয়ে কত আসনে ভোট করা যাবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। প্রকল্প স্থগিত হলেও তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই বলে জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল । দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে আরও দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনার বিষয়ে মত দেয়নি সরকার বলেও জানান তিনি।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, প্রজেক্ট স্থগিতের পরে কমিশনের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, হতাশার কিছু নেই। একটা সিদ্ধান্ত এসেছে, সার্বিক অর্থনৈতিক কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখানোর কিছু নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বে নির্বাচন কমিশন দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে। সেই মেশিনগুলো দিয়েই গত পাঁচ চার জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। মেশিনগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু কিছু মেশিন অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া সংসদের নির্বাচনের জন্য কতগুলো ব্যবহার করা যাবে তাও পরীক্ষা করে দেখছে কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন এ সংক্রান্ত নতুন ইভিএম প্রকল্প প্রস্তাব এক চিঠিতে রোববার স্থগিত করার তিনদিন পর কথা বলেন সিইসি।
এর আগে, কমিশন থেকে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ করার জন্য নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছিল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আর্থিক সংকটের কারণে রোববার (২২ জানুয়ারি) প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত করেছে সরকার।
মাহফুজা ২৫-১