মিরপুর পল্লবীতে বাসা থেকে বিপ্লব জামান নামে এক গণমাধ্যমকর্মীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তি ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ও সিআইডির ফরেনসিক টিম মরদেহটি উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, বাড়ির মালিকের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনিও একসময় ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে কাজ করতেন। পূর্ব পরিচয় ও একই অফিসে কাজ করার সুবাদে গত দুই বছর ধরে বিপ্লব জামান ওই বাসায় ভাড়া থাকা শুরু করেন।
ডিসি বলেন, গত সাত দিন ধরে বিপ্লব জামান অফিসে যাচ্ছেন না। অফিস থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগও করা সম্ভব হচ্ছিল না। তখন অফিস থেকে বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলামের কাছে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায় দরজা ভেতর থেকে লক করা। তখন সিআইডির ফরেনসিক টিমকে জানানো হয়।
বাড়িওয়ালার উপস্থিতিতে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, মালামাল অক্ষত আছে। তবে বিপ্লব জামান বারান্দায় পড়ে আছেন। তার পায়ে স্যান্ডেল ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, আশপাশের লোকজন দুর্গন্ধ পেয়ে খবর দিলে পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পায়। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহে কাজ করছে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট।
জসীম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ যাই ধারণা করুক না কেন, সুরতহাল করবে। সিআইডির ফরেনসিক টিমও কাজ করছে। তিনি কি কারণে মারা গেছেন ময়নাতদন্তে জানা যাবে।
ডিসি বলেন, বাচ্চারা ছোট থাকা অবস্থায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় বিপ্লব জামানের। তার সন্তানদের একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আরেকজন ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়েন। বিপ্লবের বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। তিনি কথাবার্তা কম বলতেন। অফিস ও বাসায় যাতায়াত করতেন। খুব একটা রান্নাও করতেন না। হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করতেন। তিনি অসুস্থতায় নাকি সুইসাইড করেছেন তা ময়নাতদন্তে জানা যাবে।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
মাহফুজা ২১-১