এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। শুক্রবার সকালে শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ কমে তা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্ৰিতে নেমেছে। এ বছরের শীত মৌসুমে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। এতে শীত আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, এ উপজেলায় এমনিতেই অনেক শীত। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতজনিত কষ্ট ও দুর্দশা লাঘবে প্রধানন্ত্রীর পক্ষ থেকে কম্বল বরাদ্দ এসেছে।
পৌষের মাঝামাঝি থেকেই পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কনননে শীত আর অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এখানে রেকর্ড হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না
শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরদিক থেকে হিমালেয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্র ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরো কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।
মাহফুজা ২০-১