বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার দুপুরে আশুগঞ্জ মধ্যবাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
রুমিন ফারহানা সম্প্রতি আশুগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি আয়োজিত এক সেমিনারে উপনির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। এজন্য শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার প্রস্তাব তোলেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় আল মামুন সরকার বলেন, আশুগঞ্জ-সরাইলে যে উপ-নির্বাচন হচ্ছে এতে আমাদের কোনো দলীয় প্রার্থী নেই। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আশুগঞ্জে এসে একটি মিটিংয়ে নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। রুমিন ফারহানা এসে তার দলের নেতাকর্মীদের উসকে দিতে চেয়েছেন। উপনির্বাচনের সময় তিনি যদি সরাইল বা আশুগঞ্জের কোথাও আসেন, তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে।
আ.লীগের এ নেতা বলেন, আমরা মনে করি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যারা এভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাদের প্রতিহত করা আবশ্যক। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সরাইল-আশুগঞ্জে যে উপনির্বাচন হবে, সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে আমরা সহযোগিতা করব। কোনো ব্যক্তি বা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করতে আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছি।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার উপনির্বাচনের সময়কাল পর্যন্ত রুমিন ফারহানাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচন প্রতিহত, বানচাল বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো অপচেষ্টা করা হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির চক্রান্ত প্রতিহত করবে।’
উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছফিউল্লাহর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদ প্রমুখ।
২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এই আসনে ৫ বারের এমপি।
আব্দুস সাত্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।
মাহফুজা ২০-১