গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢল নেমেছিলো মুসল্লিদের। শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জামাত শুরু হয়।
জুমার নামাজ পড়িয়েছেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন কান্ধলভী।
ইজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। দুপুর ১২টায় ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সবস্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
তবে মাইক ও সমন্বয়ের অভাবে ইজতেমা মাঠের পূর্বদিকে হাজার হাজার মুসল্লি জুমার জামাতের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। কেউ রুকু করেছে, সেউ সিজদা আবার একপাশে ছালাম ফেরার আগেই অন্যপাশের নামাজ শেষ।
এছাড়া টঙ্গীর বিভিন্ন উঁচুভবনের ছাদে থেকেও মুসল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন। বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটে আসেন জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন হোগলা পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হন।
তবে প্রথম পর্ব থেকে দ্বিতীয় পর্বে মুসল্লির সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিলো। নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগ থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো।
ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে এবারের ইজতেমায় বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর তার তিন ছেলে ও মেয়ের জামাতা ময়দানে এসেছেন।
তারা হলেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী, মেঝ ছেলে মাওলানা সাঈদ কান্ধলভী ও ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে মাওলানা সাদের মেয়ের জামাতা মাওলানা হাসানসহ সাতজনের একটি জামাত ময়দানে উপস্থিত রয়েছেন।
শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তার বয়ান তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।
আজ জুমার পর সংক্ষিপ্ত বয়ান করবেন কাকরাইলের শুরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা সাদের মেঝ ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্দলভী, মাগরিবের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্দলভী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
মাহফুজা ২০-১