১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অফিসে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রয়েছে -ফরহাদ হোসেন

    সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও অফিসে বেসামরিক জনবলের ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রয়েছে বলে জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়।

    ফরহাদ হোসেন জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১’ বইয়ের (জুন, ২০২২ সালে প্রকাশিত) তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি কার্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১টি, তৃতীয় শ্রেণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি শূন্য পদ রয়েছে।

    ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯ জন এবং ৪২তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য ক্যাডার) ৩ হাজার ৯৬৬ জন সহকারী সার্জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। ৪৩তম বিএসএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন চলছে, ৪৪তম লিখিত পরীক্ষা গত ১১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত আছে।

    সরকারি অফিসের শূন্যপদে নিয়োগ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির ১০-১৩তম গ্রেডের পদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে হয়ে থাকে। ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডের নিয়োগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী হয়।

    ফরহাদ হোসেন বলেন, আদালতে মামলা থাকায় নিয়োগবিধি প্রণয়ন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ও পদোন্নতির যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্য পদ পূরণ করা যায়নি।

    মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ৪৩৬টি শূন্য পদের অধিযাচন (ফরমায়েশ) পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত সুপারিশযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।

    ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৯১; যা মোট চাকরিজীবীর প্রায় ২৬ শতাংশ। ২০১০ সালে এটি ছিল ২১ শতাংশ। তিনি জানান, প্রথম শ্রেণির পদে নারীদের জন্য আলাদা কোটা না থাকলেও ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে কর্মী নিয়োগে নারীদের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে।

    মাহফুজা ১৮-১

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর