২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি

    বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ থাকায় পরীমনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। তবে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত আদালতকে জানান, আপিল বিভাগ থেকে মামলাটির ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সেই আদেশের কপি এখনো পাওয়া যায়নি। উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দাখিলের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।

    ৯ জানুয়ারি পরীমনির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচাপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন

    এদিন পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও খালু কবীর হাওলাদার আদালতে হাজিরা দেন।

    ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারী পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

    গেল বছরের ৮ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই আদেশ দেন।

    গত বছরের ৮ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনির নামে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছিল চেম্বার আদালত।

    ২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব । এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

    এরপর একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত পরীমনির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইলফোন, ল্যাপটপসহ জব্দ করা ১৬টি আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারও আগে মামলায় পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। এক মাস হাজতবাসের পর তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান।

    গত বছর ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। গত বছর ৫ জানুয়ারী পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

    মাহফুজা ১২-১

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর