আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছেন।আহত হন বেশ কজন। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ওস্তাদ ফরিদুন নামের তালেবান তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, হামলাকারী বোমা নিয়েই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশের পরিকল্পনা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এটি এ বছরে কাবুলে হওয়া দ্বিতীয় বড় হামলা।
ক্ষমতাসীন তালিবানের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। অবশ্য কাবুলের পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় নিহতের সংখ্যা অন্তত পাঁচজন।
যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে তুরস্ক, চীনসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসও রয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য কিংবা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কাবুল পুলিশের প্রধান মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেছেন, ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হয়েছে। দিনের ব্যস্ত একটি সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি মন্ত্রলায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় বেশ কয়েকটি চেকপয়েন্ট রয়েছে। এরপরও কীভাবে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটলো, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৯ জন মন্ত্রণালয়ের বাইরের রাস্তায় পড়ে আছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধারে ব্যস্ত আছেন।
এদিকে কাবুলের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব আফগানিস্তানের লেকচারার ওবায়দুল্লাহ বাহির বলেছেন, হামলার পর হতাহতের পরিসংখ্যানের এই অসঙ্গতি ‘দুঃখজনক’। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমরা তালেবানদের আগেও এটা করতে দেখেছি। প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা অস্বীকার করলে সেটি শহরের নিরাপত্তায় কোনও কাজে লাগে না। সুতরাং, প্রশ্ন অনেক থাকলেও উত্তর সামান্য।’
আল জাজিরা বলছে, চীনের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালেবানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গেছে। আফগান তথ্য ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী মুহাজের ফারাহি এএফপিকে বলেন, ‘আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনা প্রতিনিধিদল আসার কথা ছিল, কিন্তু বিস্ফোরণের সময় তারা উপস্থিত ছিল কিনা তা আমরা জানি না।’
বর্তমানে আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিদ্রোহের মুখোমুখি হচ্ছে। সম্প্রতি কাবুলে রুশ ও পাকিস্তানি দূতাবাসে হামলা চালায় আইএস।
তাছাড়া, জঙ্গিগোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে জানা গেছে।
মাহফুজা ১২-১