হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, তীব্র শীতে রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগই শিশু রোগী। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে তিন থেকে চার শতাধিক বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ।
গত তিনদিন ধরে দিনাজপুরে সূর্যের আলো গায়ে পড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ৯৩ শতাংশ।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
কুড়িগ্রামে শীত ও ঘন কুয়াশা ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষজন। বুধবার সকাল ৯টায় জেলার ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছে বিপাকে। জেলায় টানা চার দিন ধরে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, জেলায় সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে ঘন কুয়াশার মাত্রা ক্রমান্বয়ে আরও ঘনভূত হওয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল জেলার ৯টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।
মাহফূজা ১১-১