ইন্দোনেশিয়ার তানিমবার দ্বীপে ৭.৬ মাত্রায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে তিন ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্রের পানির কোনো পরিবর্তন না হলে সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। খবরটি জানায় রয়টার্স।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ২.৪৭ মিনিটে এত কম্পন অনুভূত হয়। সমুদ্রের ১৩০ মিটার গভীরে এ কম্পন আঘাত হানে। দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বিএমকেজি এ তথ্য জানায়। এছাড়া সুনামির সতর্কতা জারির পর ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে তা তুলে নেওয়া হয়।
ভূ-কম্পনের সময় আতঙ্কে লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জ হলো পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার মালুকু প্রদেশের প্রায় ৩০টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডের মতো সময়ে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। এতে একজন আহত হন। ১৫টি বাড়ি ও দুটি স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার বিএমকেজির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্ণাবতী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভূমিকম্পের পর আমরা সমুদ্রের চারটি জোয়ারের ওপর পর্যবেক্ষণ করি। কিন্তু এতে আমাদের কাছে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি।এরপরই আমরা সুনামি সতর্কতা তুলে নিয়ে সমুদ্রের পাশে বসবাসকারীদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে নির্দেশনা দেই।
ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়কারী ইউরোপীয় সেন্টার (ইএমএসসি) জানায়, ইন্দোনেশিয়ায় অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৬ মাত্রার ছিল।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্র একই তথ্য দেয়।ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯৭ কিলোমিটার (৬০.২৭ মাইল) গভীরে এই ভূমিকম্প হয়।
৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর আফটার শক অনুভূত হয়। যার মাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫.৫।ভূমিকম্পের পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে অন্তত চারটি আফটারশক রিপোর্ট করা হয়েছে যেগুলো উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রাথমিক রিপোর্টে ভূমিকম্পের পর প্রধানত ভবনগুলোর হালকা থেকে মাঝারি ক্ষতির ইঙ্গিত রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মাহফুজা ১০-১