এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার বিকেলে বিএনপি মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান দুজনের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবর কারাগারের সামনে থেকে নিশ্চিত করেন ।
তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জানান, ৩ জানুয়ারি ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিও করেন আদালত।
আইনজীবী জানান, পরদিন বিএনপির এই দুই নেতার জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। এদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানিতে তাদের জামিন বহাল রাখা হয়।
তিনি বলেন, এর আগে মোট চার বার মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে তাদের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
গেল বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় এক জন নিহত এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতের বেলা পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় আলাদা চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয় এবং তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের।
৮ ডিসেম্বর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে এনে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেই থেকে তারা দুজন কারাগারেই ছিলেন। তারা জামিনে মুক্তি পেলেন আজ।
মাহফুজা ৯-১
