হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ঘন কুয়াশার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন। এ সময় আহত হন আরও পাঁচজন। শনিবার ভোরে মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহপুর নতুনবাজার এলাকার ম্যাডাডোর কোম্পানির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার শুকনাদি গ্রামের প্রবাসী সালাম মিয়া , সিহাব মিয়া , সাফিয়া বেগম সাফিয়ার ১ বছরের শিশু হাবিবা জান্নাত এবং একই উপজেলার দশভাগ গ্রামের মাইক্রোবাস চালক সাতির আলী।
নিহতদের স্বজন শুকনাদি গ্রামের নওশাদ আহমেদ জানান, শুক্রবার বিকেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী সালাম মিয়াকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে তারা ঢাকা যান। পরে রাতে ঢাকা থেকে ফেরার পথে ঘন কুয়াশার মধ্যে শাহপুর নতুন বাজার এলাকায় তাদের মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসে থাকা শিশু ও চালকসহ পাঁচজন মারা যান। এ সময় আহত হন একই মাইক্রোবাসের যাত্রী রাজু আহমেদ ও তার বাবা নূর ইসলামসহ এক বৃদ্ধ। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, রাতে ঘন কুয়াশা পড়েছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো সরানো হয়।
লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সচালক মামুন বলেন, ‘সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে গুরুতর আহত সাদিয়া বেগম ও তার মেয়ে হাবিবা আক্তার মারা যান। তাদের মরদেহ মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলার বেড়াছড়া গ্রামে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’
নিহত সাদিয়া বেগমের মামাতো ভাই হেলাল আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পথে বোন সাদিয়া ও ভাগনি হাবিবা মারা গেছে। তাদের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত সাদিয়ার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুস সালাম ও সাদিয়ার ভাই আতিকুর রহমান সিহাব এবং মাইক্রোবাস চালক সাদির আলীর মরদেহও বাড়িতে আনা হচ্ছে।
কক্সবাজারের রামুতে পর্যটকবাহী জিপ গাড়ি উল্টে একজন মারা গেছেন। আহত হন সাত জন। শুক্রবার রাত ১০টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মমতাজ বেগম পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকার মৃত রুহুল আমিনের স্ত্রী। আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। হতাহতরা পরস্পর আত্মীয়-স্বজন।
মাহফুজা ৭-১