ঢাকার ধামরাইয়ের একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার ভোর ৫টায় উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- গার্মেন্টসকর্মী মনজুরুল, তার স্ত্রী জোসনা , তাদের দেড় বছরের মেয়ে মরিয়ম, স্ত্রীর বড় বোন হোসনা এবং ভাগনি সাদিয়া ।
দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান জানান, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার ভোরে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে গিয়ে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের প্রতিবেশী মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন তখন বিকট একটি শব্দ শুনতে পাই। এরপর ওই ভবনের নিচতলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখি। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, বাসাটির ভেতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন।
স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জ্বালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আউয়ুব হোসেন জানান, যাদের হাসপাতালে আনা হয়েছে তারা সবাই গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে মনজুরুল ইসলামের শরীরের ৩৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার স্ত্রী জোসনা বেগমের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়াও সাদিয়া আক্তার দগ্ধ হয়েছেন ৭৫ শতাংশ। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের মধ্যে হোসনে আরা ২৫ শতাংশ ও মরিয়ম ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা জরুরি বিভাগের চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
মাহফুজা ৭-১