বৈরি আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পর শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচ। খুলনা টাইগার্সের ব্যাটারদের ১১৩ রানেই থামিয়ে দিয়েছে ঢাকার বোলাররা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ইয়াসির রাব্বি। ঢাকার হয়ে ৪ উইকেট নেন পেসার আল আমিন হোসেন।খুলনা টাইগার্স ৮ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারলো মাত্র ১১৩ রান। বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ফের দেখা গেলো বোলারদের দাপট, ধুঁকলেন ব্যাটাররা।
মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে খুলনা টাইগার্স। ঢাকার বোলারদের তোপের মুখে শুরুতে ফিরে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। রান পাননি অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল, করেছেন মোটে ৮ রান।
টস জিতে খুলনাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন। শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে খুলনা। এর আগে নাসির ফেরান আরেক ওপেনার শারজিল খানকে। তিনে নামা মুনিম শাহরিয়ার পেসার আল-আমিনের প্রথম ওভারে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। সেখান থেকে আজম খান, ইয়াসির আলী ও সাইফউদ্দিন লড়াই করে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান।পাওয়ার প্লের মধ্যে ২৮ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। শারজিল খান (৭), মুনিম শাহরিয়ার (৪), তামিম ইকবাল (৮)-টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারই সাজঘরে ফেরেন দুই অংক ছোঁয়ার আগে।
খুলনার রান একশ পেরিয়ে যায় ওয়াহাব রিয়াজের কারণে। শেষ দিকে ৩ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১০ রান করেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তাতে লড়াইয়ের কিছুটা আভাস পাচ্ছে খুলনা।
ঢাকার বোলিং ছিল আঁটসাঁট। পেসার আল আমিন ৪ ওভারে ২৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির হোসেন ও আরাফাত সানি।
আজম খান শুরুটা করেছিলেন মারকুটে। তবে ১২ বলে ১৮ করে থামতে হয়েছে তাকেও। অধিনায়ক ইয়াসির আলি ধরে খেলে ২৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় করেন ২৪ রান।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ইনিংস ছিল আরও ধীরগতির। ২৮ বল খেলে এই অলরাউন্ডার করেন ১৯ রান। শেষদিকে সাব্বির রহমান ১১ বলে অপরাজিত ১১ আর ওয়াহাব রিয়াজ ৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করলে ১১৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা।
ঢাকা ডমিনেটর্সের পেসার আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার আরাফাত সানি আর নাসির হোসেনের। তাসকিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৪ রান।
মাহফুজা ৭-১