সরকার আদালতের কোনো মামলার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন বলে জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘মামলা আদালতে চলছে। আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে জেনেছি, হাইকোর্টে বিএনপি নেতাদের যে জামিন দেওয়া হয়েছিল সেখানে কিছু আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। সেজন্য তিনি আপিল বিভাগে গেছেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের খারাপ আচরণের কথা শুনেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টা আমি জানি। এখন কথা হচ্ছে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের বিচারক অভিযোগ করেছেন। ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, একজন বিচারকের প্রতি আইনজীবীদের আচরণ খুব খারাপ ছিলো। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। এটা এখন বিচারকদের ব্যাপার। আদালত বিচার করবেন।’ অভিযুক্ত তিন আইনজীবী হলেন- তানভীর ভূঞা, মো. আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলাম।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, কসবা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতণ্ডা হয়। এরই জেরে বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি।
এরই মধ্যে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ কয়েকজন আইনজীবীর অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) আক্কাস আলী ও আইনজীবী জুবায়ের আহমেদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত অবমাননার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
মাহফুজা৬-১