পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-১০ মধ্যে অবস্থান করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সপ্তাহে শীতের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
শুক্রবার সকাল ১০টার পরও সূর্যের দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। পথচারী, রিকশাচালক ও দুঃস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
এদিকে জেলায় প্রায় দুই লাখ দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার ৬০০ শীতের কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৬০০ শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১৫ হাজার শীতের কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং সেগুলো হাতে পেলেই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
হাঁড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে জুবুথবু দিনাজপুরবাসী। দুইদিন যাবৎ দেখা নেই সূর্যের আলোর। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
এদিকে সকাল ৬ টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, আগের দিন একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৩ শতাংশ।
মাহফুজা ৬-১