বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় রয়েছে চার বিঘা জমি। পাকিস্তান আমলে কেনা এই সম্পত্তিতে রয়েছে বিশাল গোডাউন, যা এখন ‘শেখ হাসিনার গোডাউন’ নামে পরিচিত।
এই জমি দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার ব্যক্তিগত সফরে খুলনায় যাচ্ছেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে তিনি সড়কপথে খুলনায় যাবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছাবেন।
ঘাট পার হয়ে তিনি দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা পাট গোডাউন পরিদর্শন করবেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার গোয়েন্দা ইউনিটগুলোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। এর আগে, সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় আসেন।তবে এই সফরে তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন কি না তা এখনো জানা যায়নি।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে ৩ জানুয়ারি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জমিটি পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরটা একেবারেই ব্যক্তিগত এবং দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাও করতে পারেন তিনি।
পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছার নামে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে নগরঘাট এলাকায় চার বিঘা জমি কিনেছিলেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান।পরে ওই জমিতে নির্মাণ করা হয় পাট গোডাউন ।
বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউজ। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।
মাহফুজা ৫-১