কাস্টিং ভোটের ৮ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন- বিকল্পধারা বাংলাদেশ মনোনীত কুলা প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্রপ্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাত (আপেল)।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রত্যেক সংসদ সদস্য প্রার্থীর জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে জমা থাকে। মোট প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের নিচে এক ভোট কম পেলেও তার জামানতের টাকা নিয়মানুযায়ী বাজেয়াপ্ত হয়।’
২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৫০ ভোট। বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম কুলা প্রতীকে পান ১ হাজার ৭৯৬ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ট্রাক প্রতীকে ২ হাজার ৯৫০ ভোট ও নাহিদুজ্জামান নিশাত আপেল প্রতীক ১ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬১২ জন ভোটার ভোট দেন।
এসব আসনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার রয়েছেন। সাঘাটা উপজেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন এবং ফুলছড়ি উপজেলার ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন ভোটার।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গেল বছরের ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মাহফুজা ৫-১