গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং নির্বাচনটি সফল হয়েছে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি আরো বলেন গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের শুরুটা যেমন সুন্দর ছিল তেমনি শেষটাও চমৎকার ছিল।
বুধবার নির্বাচন ভবনে উপ-নির্বাচন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
একটি আসনে ভোট হলো দুইবার। প্রথমবারে গত ১২ অক্টোবর এবং দ্বিতীয়বার ৪ জানুয়ারি। ১২ অক্টোবরের মতো বৃহস্পতিবারের ভোটও ঢাকা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এবার আসেনি অনিয়মের কোনো অভিযোগ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও বলেছে ভোট সুষ্ঠু।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে কোনো ধীরগতি ছিল না। সে রকম কোনো অভিযোগও ছিল না।
সিসি ক্যামেরা প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটি নতুন সংযোজন এবং এটি অনেক কার্যকর হচ্ছে। প্রার্থীরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেন্দ্রের ভেতরে অনিয়ম হলে তারা সচেতন থাকছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। অসন্তুষ্ট হতাম যদি কেউ বলত ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব কী, করব না- সে সিদ্ধান্ত এখনও নিইনি।
তিনি বলেন, পুলিশ, প্রশাসন ও আমাদের কর্মকর্তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন আজকের ভোট সেসবের একটি দৃষ্টান্ত।
সিইসি বলেন, গত ১২ অক্টোবর ভোটের দিন কেন্দ্রের বাইরে কিন্তু গণ্ডগোল হয়নি। সেজন্য আমরা তাদের দায়ী করতে পারিনি। যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি তাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। জাতীয় নির্বাচনে সেটা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করি।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলে নির্বাচনী এলাকায়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেয়া হয় এ ভোট। প্রায় তিন মাস আগে সিসি ক্যামেরায় ভোটের অনিয়ম দেখে মাঝপথে সব কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে ইসি । এরপর দায়ীদের চিহ্নিত করে ১৩৩ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। পরবর্তী ৪ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করে সংস্থাটি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মাহফুজা ৪-১