আমাদের পুলিশ বাহিনী জনগণের পুলিশ হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের আস্থা অর্জন করা যে কোনো বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনায় গেল দুই বছর তিনি সশরীরে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, পুলিশ আছে জনতার পাশে’। পুলিশ সপ্তাহের কর্মসূচি চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
‘আমি ধন্যবাদ জানাই যে, আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন জনগণের পুলিশ হিসেবেই তারা জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আগে যেমন পুলিশের নাম শুনলে মানুষ ভয় পেতো, এখন জানে পুলিশ সেবা দেয়, তাদের পাশে দাঁড়ায়। মানুষের আস্থা অর্জন করা, জনগণের আস্থা অর্জন করা এটা যে কোনো বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনারা তা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, শান্তি রক্ষায় পুলিশ বাহিনী, বিশেষ করে নারী পুলিশ প্রশংসা পাচ্ছে। এজন্য জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশের পুলিশও হবে স্মার্ট ও আধুনিক। এরই মধ্যে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। সামনে সেবা আরও সহজ ও স্মার্ট হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পুলিশের আধুনিকায়নে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি।বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গি-সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক ভিত্তি ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখনই দেশ একটু ভালোর দিকে যায়, তখনই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়। এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এটি কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।
‘আসুন আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের পুলিশকে একটি দক্ষ, চৌকস স্মার্ট পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাই। কোনো প্রতিবন্ধকতা আমাদের এই অগ্রযাত্রা বাধা দিতে না পারে।’
‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও পুলিশ পদক’ এ ভূষিতদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তিনি।
সকালে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তাকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশের বিভিন্ন দল বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
পরে তিনি ১১৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) সাহসিকতা, রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসিকতা, বিপিএম সেবা এবং পিপিএম সেবা প্রদান করেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন বিপিএম সাহসিকতা এবং ২৫ জন পিপিএম সাহসিকতা, ২৫ জন বিপিএম সেবা এবং ৫০ জন পিপিএম সেবা লাভ করেন।
মাহফুজা ৩-১১