পল্টন থানায় করা মামলায় ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন শুনানি দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আবেদনটির শুনানির জন্য রেখেছেন।
বিচারিক (নিম্ন) আদালতে চার দফায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর উচ্চ আদালত হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে এ জামিন আবেদন করা হয়।আদালতে বিএনপির দুই নেতার জামিন আবেদন উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কামরুল ইসলাম , সগীর হোসেন ।
আসামিপক্ষের অন্যতম জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ। কিন্তু ওই আদেশের সার্টিফাইট কপি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনজীবীর হাতে না পাওয়ায় এতোদিন উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করতে পারেননি বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা।
রোববার ওই আদেশের সার্টিফাইট কপি হাতে পাওয়ার পর আজ উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করলেন ফখরুল-আব্বাসের আইনজীবী।
৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাহফুজা ৩-১১