দোনেৎস্ক অঞ্চলের মাকিভকা শহরে হামলা চালিয়ে ৪০০ রুশ সেনাকে হত্যার কথা দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে ওই হামলার ঘটনায় ৬৩ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানায় মস্কো। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নববর্ষের প্রাক্কালে দোনেৎস্কের মাকিভকা শহরে ইউক্রেনের হামলায় এসব সেনা নিহত হন।
তবে দুই পক্ষের দাবি নিরপেক্ষ কোনো সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।বিবিসি জানায় খবরটি। গেল বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেন হামলা শুরুর পর এবারই প্রথম একদিনে এতো সংখ্যক রুশ সেনা নিহত হলেন।
ইউক্রেনের সামরিক কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি রুশ অধিকৃত মাকিভকা শহরের একটি স্কুল ভবনকে টার্গেট করে নিক্ষেপ করা হয়, যা রুশ সৈন্যরা ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার করছিল।
বেশ কয়েকজন রুশ ভাষ্যকার ও ব্লগারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করা হয়। এরপর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ সেনাদের ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার করা একটি আবাসিক ভবনে সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় ইউক্রেনীয় সেনারা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হাইমারস সিস্টেম ব্যবহার করে ছটি রকেট ছোড়ে। এর মধ্যে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। বাকি চারটি ভবনে আঘাত হানে
ইগর গিরকিন নামে রাশিয়ার এক সামরিক ব্লগার বলেন, হামলায় শতাধিক নিহত ও আহত হয়েছেন। তবে কতোজন নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত নয়। কারণ এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া হামলায় ভবনটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
এদিকে ইউক্রেন মিলিটারির জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুশ সেনাদের ১০ ইউনিট সামরিক সরঞ্জাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
হামলার একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত মাকিভকায় একটি ভোকেশনার কলেজ ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তবে আল জাজিরা এ ভিডিও’র সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
যদি ইউক্রেনের দেওয়া তথ্য সঠিক হয়ে থাকে তাহলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এটি ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হামলা।
রুশ সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র অফিসার বলেন, শনিবার মধ্যরাতে ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় ভোকেশনার কলেজটি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তবে এ হামলা কতজন নিহত হয়েছে এ সংখ্যা তিনি জানেন না বলে জানান।
এর আগে নতুন বছর উপলক্ষে দেয়া ভাষণে যুদ্ধ জয়ের প্রত্যয় জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলতি বছরের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বিপরীতে নবনর্ষের ভাষণে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মাহফুজা ৩-১