১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    চার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইস্যুতে দেওয়া আলটিমেটামের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় চার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।

    এছাড়াও স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন মাসের সময় ও ছয়টিকে নতুন করে ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ইউজিসি।

    ইউজিসি’র পাঠানো চিঠিতে জানা গেছে, স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে অগ্রগতি হয়নি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর মধ্যে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির নাম রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এখানে অধ্যায়নরত সব শিক্ষার্থীর নিয়মিত পাঠদান, পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম চলবে। নতুন করে তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।

    নতুন করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট, সিটি ইউনিভার্সিটি, মিলেনিয়াম ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাদের এ সময়ের মধ্যে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়।

    ছয় মাসের মধ্যে স্থানান্তর হবে ছয় বিশ্ববিদ্যালয় সেগুলো হলো-এ তালিকায় দেখা গেছে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), গ্রিন ইউনির্ভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং পিপলস ইউনিভার্সিটির নাম রয়েছে। এ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরবর্তী ছয় মাস পর স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে নতুন করে সময় দেয়া হয়।

    যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো আউটার ক্যাম্পাস (ঢাকার বাইরে) রয়েছে সেগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সেখানে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় ব্র্যাক ও মানারাতসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে।

    এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হতে হবে। আইন অমান্য করা এমন ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। এসময়ের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে সব কার্যক্রম সেখানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে যাদের বিদ্যুৎসংযোগসহ ইউটিলিটি সমস্যা রয়েছে তাদের তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভবন নির্মাণাধীন থাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলো দ্রুত যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে তাদের ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেয়া হবে।

    যারা তিন মাস সময় পেয়েছে তাদের বিষয়ে আগামী ৩১ মার্চ এবং যারা ছয় মাস সময় পেয়েছে তাদের বিষয়ে আগামী ৩০ জুন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে তাদেরও নতুন শিক্ষার্থী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    মাহফুজা ২-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর