বিশ্বের আটশ কোটি মানুষ বর্ণিল আয়োজনে বরণ করে নিলো নতুন বছর, ২০২৩ সালকে। ঘড়ির কাঁটার সেকেন্ড ১২-তে পৌঁছা মাত্রই রঙিন আলোয় ভরে ওঠে আকাশ। ফানুস আর আতশবাজিতে মেতে ওঠে সবাই।
শেষ হলো ২০২২ সাল, স্বাগত জানানো হল নতুন বছর ২০২৩ সাল। করোনায় গত দু’বছর নানা বিধি-নিষেধ আর আতঙ্কে ইংরেজি নতুন বর্ষ উদযাপন না করলেও এবারে সেই শঙ্কা কাটিয়ে পুরো উল্লাসে মেতেছে বিশ্ববাসী।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার কারণে দুই বছর উদ্যাপন সীমিত থাকলে এবার আয়োজন ছিল চোখধাঁধানো। ঐতিহ্য অনুযায়ী নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে কাউন্টডাউন ও বল ড্রপ অনুষ্ঠিত হয়। বলতে গেলে নতুন বছর উদ্যাপনের সবচেয়ে বড় আয়োজন হয় এখানে। উপস্থিত থাকেন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার মানুষ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গা, সামোয়া ও কিরিবাসে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরে স্কাই টাওয়ার থেকে আতশবাজি পোড়ানো শুরু হয়। বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠান দেখতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন সেখানে।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকা ক্লক টাওয়ারে অবস্থিত সুবিশাল ঘণ্টার নাম হলো বিগ বেন। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই বেজে ওঠে বিগ বেন। এসময় প্রয়াত রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গান ফায়ার করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজ এলাকায় ১০ মিনিট ধরে আতশবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের নতুন বছর বরণে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা। বালির দেনপাসারের একটি প্রধান সড়কে নববর্ষের সন্ধ্যায় নৃত্যশিল্পীদের নাচ পরিবেশ করতে দেখা গেছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনে বর্ষবরণ উদযাপনের তেমন আয়োজন ছিল না এবার। তবে ইউক্রেন ২০২৩ সালে লড়াই চালিয়ে যাবে এবং যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত আছে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। নববর্ষের আগে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, এটি হবে প্রত্যাবর্তনের বছর।
করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চীনে। নববর্ষ উদযাপনের তেমন কোনো আয়োজন ছিল না চীনেরও। তবুও ছোট পরিসরে হলেও বিভিন্ন শহরে থেমে নেই বর্ষবরণের উৎসব।
এ ছাড়া ব্রাজিল, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশেই নানা আয়োজনে বরণ করে ২০২৩ সালকে।
মাহফুজা ১-১-২৩