ছয় বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। । এই সফরে টাইগারদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ইংলিশরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আজ মঙ্গলবার এই সফরের সময়সূচি প্রকাশ করেছে । ম্যাচগুলো হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভেন্যুতে। এবারই প্রথমবারের মত দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দু’দল।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘ছয় বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড দল। সফরে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তারা। আশা করছি, সিরিজে ভালো পারফরমেন্স করবে বাংলাদেশ।’
এখন পর্যন্ত চারটি দ্বিপাক্ষীক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচ সিরিজের সবগুলোতেই জিতেছে ইংলিশরা। প্রথম দু’টিতে হোয়াইটওয়াশ হলেও, ২০১০ ও ২০১৬ সালের সিরিজ ১টি করে ম্যাচ জিতেছিলো বাংলাদেশ।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছিল থ্রি লায়ন্সরা। ৭ বছর পর আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসছে তারা।
২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পা রাখবে ইংল্যান্ড দল। এরপর ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১ মার্চ প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা। একই ভেন্যু ৩ মার্চ হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। এরপর তৃতীয় ওয়ানডে হবে ৬ মার্চ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
সেখানেই ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এরপর ১২ ও ১৪ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ।
এই সিরিজের ওয়ানডে তিনটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। যদিও উভয় দল ইতোমধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় ফরম্যাটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাদের বিপক্ষে সিরিজ দুটি বাংলাদেশের জন্য হতে যাচ্ছে দারুণ পরীক্ষার।
অবশ্য বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে ঘরের মাঠে বেশ শক্তিশালী দল। ২০১৪ সাল থেকে ঘরের মাঠে খেলা ১৪টি সিরিজের মাত্র একটি সিরিজ হেরেছে। তাও ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে।
এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। দলগুলোর বিপক্ষে ৪৪ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৩৫টিতেই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজকে সামনে রেখে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের বছরে এই সিরিজটি দল দুটির জন্য তাদের নিজ নিজ শক্তি মূল্যায়ন করার একটি চমৎকার সুযোগ। বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বের সমর্থকদের জন্য বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ দারুণ আগ্রহের ব্যাপার হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের ঘরের মাঠে সাদা বলের ক্রিকেটের রেকর্ড অসাধারণ। অবশ্য আমরা সবাই জানি ইংল্যান্ড কতোটা শক্তিশালী এবং দারুণ দল।’
এদিকে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওলেস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী ক্লেয়ার কনর বলেছেন, ‘এটা খুবই ভালো খবর যে, ইংল্যান্ড দল ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে যাবে সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে। সিরিজ ঘিরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে যে পরিবেশ তৈরি হয় তা খুবই চমৎকার। আশা করছি দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ একটি সিরিজ হবে।’
‘বাংলাদেশ জুড়ে ক্রিকেটের প্রতি দারুণ আবেগ রয়েছে। বাংলাদেশ তাদের ঘরের কন্ডিশনে দুর্দান্ত একটি দল এবং তাদের দুর্দান্ত রেকর্ড আছে। এমন একটি দলের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ আশা করছি।’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের সূচি :
১ মার্চ : প্রথম ওয়ানডে, ঢাকা
৩ মার্চ : দ্বিতীয় ওয়ানডে, ঢাকা
৬ মার্চ : তৃতীয় ওয়ানডে, চট্টগ্রাম
৯ মার্চ : প্রথম টি-টোয়েন্টি, চট্টগ্রাম
১২ মার্চ : দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, ঢাকা
১৪ মার্চ : তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, ঢাকা
মাহফুজা ২৮-১২