রাশিয়ায় একটি অনিবন্ধিত বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে আগুনের ঘটনায় মারা গেছেন ২২ জন । শুক্রবার দেশটির পশ্চিম সাইবেরিয়া অঞ্চলের কেমেরোভো শহরে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। শনিবার দেশটির জরুরি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানায় রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক।
শুক্রবার জরুরি পরিষেবার বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ১১ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল, তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেই সংখ্যাটি বেড়ে অন্তত ২২ হয়েছে এবং নিহত সবাই বয়স্ক।
স্থানীয় ফায়ার সেফটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগার খবর পান। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় ২৮টি গাড়ি এবং ৮০টি দমকলকর্মী পাঠানো হয়েছিলো। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের উপর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অগ্নিনির্বাপন বাহিনীর কর্মীরা জানিয়েছেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলার সম্পূর্ণ অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, ‘অগ্নিকাণ্ডের স্থানে উদ্ধারকারীরা কম বায়ু তাপমাত্রার পরিস্থিতিতে ধ্বংসস্তূপের উপর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইমারজেন্সি সার্ভিস বলেছে, সবশেষ তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোতলা কাঠের বাড়িটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ইমারজেন্সি সার্ভিস জানায় সেখানকার সুরক্ষা ব্যবস্থায় অবহেলার অভিযোগে এরই মধ্যে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ভবনটিতে কোনো অগ্নি-দমন ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বয়স্কদের জন্য অনেক বাড়ি পুরো রাশিয়ায় নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত হওয়ায় এসব বাড়ি পরিদর্শন করা হয় না।
আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুনের ঘটনায় আহত ছয়জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
কেমেরোভোর গভর্নর সের্গেই সিভিলেভ বলেছেন, আগুনের ঘটনার পর অঞ্চলটির সব নার্সিং হোম পরীক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবো, বিশেষভাবে বেসরকারিগুলো। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিদর্শন শেষ হবে।
মাহফুজা ২৪-১২