ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মানদৌস এর আঘাতে মারা গেছেন চার জন। উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৫ কিলোমিটার। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়ার পর দুর্বল হয়ে যায়। খবরটি জানায় এনডিটিভি।
চেন্নাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেখানে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে এবং তাছাড়া শত শত গাছ উপড়ে গেছে।
তামিলনাড়ুতে শুক্রবার গভীর রাতে আঘাত হানে মানদৌস। মূলত ভারতের দক্ষিণাঞ্চলজুড়েই এর প্রভাব পড়েছে। অনেক জায়গায় পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা।
এর আগে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। এটি শুক্রবার রাতে ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু, পুন্ডুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করাতে পারে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশের চারটি সমুদ্রবন্দরেও ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল ছিল। তবে এটি দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে থাকায় বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব পড়বে না জানায় আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পার্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দোকানপাট। চেন্নাই বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। স্থানীয়দের শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কাছে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাঁচ হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট একটি লঘুচাপ থেকে এ ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি। শনিবারের মধ্যেই তা ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মাহফুজা ১০-১২