গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে পুনরায় ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন -ইসি। আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি হবে এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সব কেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়। প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকেই প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২২শে জুলাই সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয় এবং ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে ওঠে। সে অনুযায়ী এটি ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত ছিল।
সোমবার) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানান, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই গাইবান্ধার উপনির্বাচন হবে। আগের নির্বাচনের দোষী কেউ নতুন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন না। ওই এলাকা থেকে সম্ভব না হলে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা, তাও সম্ভব না হলে দেশের যেকোনো স্থান থেকেই প্রিসাইডিং অফিসার আনা হবে।
উপনির্বাচনের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তদন্তে ১২৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচটি কেন্দ্রের পাঁচজন এসআই’র বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার । এজন্য আইন অনুযায়ী, ইসি সচিবকে ওই ১২৫ কর্মকর্তার নামের তালিকা তাদের স্ব স্ব নিয়ন্ত্রণকারী ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের মাঝপথে নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। ভোট চলাকালে সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে গত ২৭ অক্টোবর ইসিকে প্রতিবেদন দেয়। পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কি-না, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় ইসি। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
মাহফুজা ৬-১২