৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বুধবার  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফরে যাবেন;২৮ প্রকল্পের উদ্বোধন

    বুধবার   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে পাঁচ বছর পর কক্সবাজার সফরে যাবেন। সারাদেশে ধারাবাহিক সফরের অংশ হলেও এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা বলেই নিশ্চিত করেছেন দলীয় নেতা কর্মীরা।

    ৭ ডিসেম্বর জেলায় ২৮ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। ১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং ৫৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার উখিয়ার ইনানী পাড়ে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবেন। পরে  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী লাবণী পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন।

    । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ কক্সবাজার সফরে এসেছিলেন ২০১৭ সালের ৬ মে। ওই দিন একই সঙ্গে ১৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর ও জনসভা ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী একটি আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশ নেয়ার পাশাপাশি জনসভায় ভাষণ দেবেন। এতে পুরো শহরসহ আশেপাশের এলাকাজুড়ে করা হয়েছে সাজসজ্জা, রাতে করা হচ্ছে লাইটিং। উৎসবের আমেজ শহরের প্রতিটি প্রান্তে। সমাবেশ সফল করতে গত ১৫ দিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

    এদিকে ৭ ডিসেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে অনুষ্ঠেয় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত নৌশক্তি মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীনসহ ৩৬টির বেশি দেশ অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।

    শহর ও জনসভাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সংস্কার হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, দেওয়াল লেখন, আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ সাজসজ্জার কাজ চলছে পুরোদমে। চলছে মাইকিংসহ প্রচার-প্রচারণাও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়ে আছেন কক্সবাজারের সর্বস্তরের মানুষ।

    এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে নিশ্ছিদ্র ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, জনসভা মঞ্চ ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চারপাশে ও ভেতরে টহল দিচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।

    কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাক্তার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার, যশোর, পাবনা ও নোয়াখালী– এই ৪ টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট প্রকল্পের অধীনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিলম্বের কারণে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করতে দেরি হয়ে যায়। ফলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করার বিষয়টি বাদ দেয়া হয়। এখন বিষয়টি একনেকে পাঠানো হয়েছে। একনেকে অনুমোদন পেলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে।

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম জানান, কক্সবাজার জেলায় যে উন্নয়ন হচ্ছে এতে নতুন দাবি বেশি নেই। এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেসব দাবি জানানো হবে তার মধ্যে থাকবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দ্রুত চালু করা।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয় উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের তালিকা চূড়ান্ত করেছে।

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে চারটি প্রকল্পের। এগুলো হলো- বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প, কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং জিসি মিরাখালী সড়কে ধুরুংঘাটে ১৫৩ দশমিক ২৫ মিটার জেটি এবং আকবর বলি ঘাটে ১৫৩ দশমিক ২৫ মিটার জেটি নির্মাণ, মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা ঘাটে জেটি নির্মাণ, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফে নাফ নদী বরাবর পোল্ডারসমূহের পুনর্বাসন প্রকল্প।

    কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তরের তালিকায় আরও প্রকল্প যুক্ত হতে পারে।’

    মাহফুজা ৫-১২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর