নওগাঁর আত্রাইয়ের শ্রীধর গুরনই গ্রামে ইব্রাহিম নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজের ২১ দিন পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে লাশ পুঁতে রাখেন তারই মাদ্রাসার খন্ডকালীন শিক্ষক বুলবুল।
পুলিশ জানায়, একই গ্রামের বাসিন্দা আসামি বুলবুল খন্ডকালীন শিক্ষক এর পাশাপাশি মুদি দোকানীও। শিশু ইব্রাহিমকে হত্যার পর মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। বুলবুল ৪ দিন রিমান্ডে থাকার পর পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন । তার স্বীকারোক্তি পেয়ে বৃহস্পতিবার ইব্রাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনা তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার জানান, ১০ নভেম্বর ইব্রাহিম তার দোকালে বিস্কুট কিনতে দোকানে গেলে গলাটিপে হত্যা করেন বুলবুল। এরপর মরদেহ বস্তায় ভরে আত্রাই নদীতে কংক্রিট দিয়ে চাপা দিয়ে পুঁতে রাখেন। কয়েকদিন পর ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতে ইব্রাহিমের বাবা হজরত আলীকে বেনামে চিঠি ও ফোন করে। পুলিশ ২৭ নভেম্বর অনুসন্ধান চালিয়ে বুলবুলকে আটক করে। পরে আদালতের মাধ্যমে ৪ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এ ঘটনায় ইব্রাহিমের বাবা হজরত আলী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।
মাহফুজা ২-১২