কাস্টমস গোয়েন্দা টিম ঢাকার কেরানীগঞ্জে পূর্বাশা ও রয়েল পরিবহনে অভিযান চালিয়ে ৬৩৭ ভরি সোনা উদ্ধার করেছে। এ সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন ভারতীয়সহ ১২ জনকে আটক করা হয়।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানজিদা খানম । শনিবার কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।
শুক্রবার দিনগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দুটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে এ সোনা উদ্ধার ও চোরাচালানকারীদের গ্রেফতার করা হয়।
আটকদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি এবং তিনজন ভারতীয়। তারা হলেন- রাহাত খান, মোহসিন আল মাহমুদ , কাজী মামুন ও সৈয়দ আমীর হোসেন, শামীম , মামুন , বশির আহমেদ কামাল , মামুন সরকার, আতিকুর রহমান মীনা ।
ভারতীয় তিনজন হলেন নবী হুসাইন , শাহাজাদা ও মোহাম্মদ ইমরান ।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে শুক্রবার রাতে ঢাকার মাজার রোড থেকে বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে দর্শনাগামী পূর্বাশা পরিবহন ও রয়েল পরিবহন দুটি এসি বাসে সোনা চোরাচালান হতে পারে।
শুক্রবার রাত ৩টায় গোয়েন্দাদের একটি দল চুনকুটিয়া এলাকায় বাস দুটি থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কাছে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন সবাই।
পরে সন্দেহভাজন যাত্রীদের শরীরে সোনা আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে ঝিলমিল হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করা হয়। এতে ১২ যাত্রীর মধ্যে পাঁচজনের রেক্টাম বা পায়ুপথে এবং সাতজনের লাগেজের হ্যান্ডলবার, মানিব্যাগ, কাঁধব্যাগে সাত কেজি ৪৩২ গ্রাম বা ৬৩৭ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। তবে তারা এ সোনা আমদানি বা ক্রয়ের পক্ষে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ।
উদ্ধারকৃত সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য পাঁচ কোটি টাকা এবং আটককৃতরা সোনা চোরাচালনচক্রের সদস্য। আটকদের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মাহফুজা ২৬-১১