কাতার বিশ্বকাপে ঘটলো আবারও অঘটন। অঘটন দুটোই ঘটালো এশিয়ার দুই দল। চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়েছে জাপান। ২-১ গোলে জাপান জয় পেয়েছে। আর্জেন্টিনাকে সৌদি আরবের হারানোর পরদিন জাপান জার্মানিকে হারলো।
জাপানের প্রত্যাবর্তনের গল্পটা আর্জেন্টিনা-সৌদি আরবের ম্যাচের মতোই। পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার বিপক্ষে যেভাবে দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল সৌদি আরব, ঠিক একইভাবে জিতলো জাপানও। প্রথমার্ধে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি, দ্বিতীয়ার্ধ পাল্টা দুই গোল দেয় জাপান।
বুধবার রাতে গ্রুপ ‘ই’ থেকে প্রথম ম্যাচে আল খলিফা স্টেডিয়ামে জার্মানির বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে জাপান ডোয়ান ও আসানোর গোলে। জার্মানির পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন গুন্ডোগান। প্রথমবারের মতো জার্মানিকে হারিয়েছে জাপান। এর আগে দুবারের খেলায় ১টি হেরেছে আরেকটি ড্র হয়েছে।
অথচ ম্যাচের শুরু থেকে জার্মানি দাপট দেখিয়ে খেলেছিল । জাপানি ডিফেন্স আক্রমণের পর আক্রমণে বিপর্যস্ত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে চমক দেখিয়েছে জাপান। প্রথমার্ধে ১টি আক্রমণ করা জাপান দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ করে ১১টি! জয়ের দুই নায়ক ডোয়ান ও আসানো। আসানো এর আগে বেশ কয়েকবার গোলের চেষ্টা করেও পাননি। শেষ পর্যন্ত তার গোলেই জয় নিশ্চিত করে এশিয়ার দেশটি।
৩২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে লিড নেয় জার্মানি। ৩১ মিনিটে জাপানি গোলরক্ষক গন্ডা ফাউল করে বসেন বল বাঁচাতে গিয়ে। পুরস্কারস্বরূপ পেনাল্টি পায় জার্মানি। এর আগে বার কয়েক বার আক্রমণ করেও গুন্ডোগান। গোলের দেখা পাননি এবার আর মিস হয়নি। বাম দিকে নিখুঁত শটে পরাস্ত করেন জাপানি গোলরক্ষক গন্ডাকে। এরপর ১-০ গোলে খেলাটি চলছিল। ৭৫তম মিনিটে ডোয়ান চমকে দেন।
বাম দিক থেকে মিতোমার পাসে শট নেন মিনামিনো। কিন্তু রুখে দেন নুয়্যার। তবে বল আটকে রাখতে পারেননি। ডি বক্সে ফিরে এলে ফিরতি শটে বল জালে জড়ান ডোন। ৭৫ মিনিটে সমতা আনে এশিয়ার দলটি।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে দ্বিতীয়বার জাপানের জালে বল পাঠিয়েছিলেন জার্মানির কাই হাভার্টজ; কিন্তু জাপানিরা অফসাইডের দাবি তুললে ভিএআরের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করেন রেফারি। হার্ভার্টজ অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল করা হয়।
তার ৮ মিনিট পরেই আসানর চমক। ইতাকুনার লং পাস ডি বক্সের ডান দিকে আসে তাকুমা আসানো পায়ে। এক জনকে কাটিয়ে ডুকে যান ডি বক্সে। এরপর নিখুঁত শটে আসানো লক্ষ্যভেদ করেন। জার্মানদের স্তব্ধ করে এগিয়ে গেলো জাপান। যোগ করা সময় ৯ মিনিট খেলা হলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি জার্মানি। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পর বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেছিল জার্মানরা, কিন্তু গোর দিতে পারেনি
জার্মানি দাপটের সঙ্গে খেললেও ৩ পয়েন্ট হারিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। জার্মানি ২৫টি শট নেয় মোট, আর জাপান নেয় ১২টি। ম্যাচের ৭১ শতাংশ বল ছিল জার্মানির পায়ে।
মাহফুজা ২৩-১১