ছিনিয়ে নেওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি সদস্যসহ এ ঘটনায় জড়িতরা সবাই নজরদারিতে রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানালেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ ।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তারা যেন পালাতে না পারে সেজন্য ইতিমধ্যে সারা দেশে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে ।এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে রাজধানীর অলি-গলিতে চেকপোস্ট স্থাপন করেছি এবং তল্লাশিও চলছে। সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং চেকপোস্ট কড়াকড়ি করা হয়েছে। আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ২০ জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ১২ জনের মধ্যে দুজন পালিয়েছে এবং পালাতে ব্যর্থ দুজনসহ মোট ১০ জনকে পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
তিনি বলেন, যারা এ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত এবং ঘটনার মাস্টারমাইন্ড প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। পলাতক জঙ্গি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে। শিগগির তাদের গ্রেফতার করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, যারা জঙ্গি আসামিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। কর্তব্য কাজে অবহেলার কারণে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। টহল জোরদার ও কঠোরভাবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও মনিটরিং করা হচ্ছে। জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রটেকশন বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বরখাস্ত মেজর জিয়া।
তিনি বলেন, কোর্ট এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে এবং জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রটেকশন রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশনার নির্দেশনা দিয়েছেন, কোর্ট এলাকায় যাতে আরও বেশি পরিমাণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কোর্টে জঙ্গি আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়
রোববার মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় মোট ১২ জঙ্গিকে আদালতে নেওয়া হয়। দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের মুখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন, মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।
মাহফুজা ২১-১১