‘সমাবেশ নয়, পরিবহন ধর্মঘটই গণমানুষের দুর্ভোগের কারণ বলে জানালেন মির্জা ফখরুল । সরকার সারা দেশে অঘোষিত ধর্মঘট পালন করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের সম্মুখীন করছে বরল জানান তিনি। ।
বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে কর্মসূচি দিয়েছিলাম ১০টি বিভাগ নিয়ে, তার সর্বশেষ কর্মসূচি হচ্ছে ঢাকায়। ঢাকা থেকে হয়তো আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি, দাবি-দাওয়াসহ আরও বৃহত্তর আন্দোলন নিয়ে জনগণের সামনে আসবো। এটা আমাদের চূড়ান্ত কর্মসূচি নয়, এটা হচ্ছে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি।
তিনি বলেন, এমন কোনো কর্মসূচি আমরা নেবো না, যাতে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিপদগ্রস্ত হবে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আর শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাবো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হেফাজতের মতো দমন করার অবস্থা এখন আর দেশে নেই। হেফাজতের সময় তারা যেটা করেছে, এখন জনগণের সঙ্গে সেটা করতে পারবে না। কারণ হচ্ছে, জনগণ তাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে, যেকোনো মূল্যে এবার দাবি আদায় করে ছাড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করা হলে জনগণ কখনই তা মেনে নেবে না। সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ গণসমাবেশ সফল করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছে। ১২ অক্টোবর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে একই দাবিতে পালিত হচ্ছে গণসমাবেশ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে সরকারি দলীয় সন্ত্রাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, আহত, গ্রেপ্তারসহ সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নেতাকর্মীরা অপকর্মের প্রতিবাদে সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশগুলোতে হাজির হচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,৬ বিভাগের সমাবেশের আগে-পরে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট দিয়ে জনর্দুভোগ সৃষ্টি করছে। ধর্মঘটের কারণে দেশের কী পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, তা অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গকে নির্ণয় করে প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত, নিহত ও গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন ফখরুল ।
মাহফুজা ১৭-১১
