রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পোল্যান্ডের ২ জন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পোলিশ সরকারের মুখপাত্র পিওটার মুলারখবরটি নিশ্চিত করে। এ ঘটনার পরপরই জরুরি বৈঠক ডেকেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
যদিও এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। আল জাজিরা, বিবিসি ও সিএনএন জানায় খবরটি।
পোলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পোল্যান্ডের প্রজেওডো গ্রামে আঘাত হানে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র কে বা কারা ছুড়েছে এখনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ নেই। এটি সম্ভবত রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, এর তদন্ত চলছে।’
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি বলেছেন, এরই মধ্যে বেশ কিছু সামরিক ইউনিটের প্রস্তুতি বাড়াচ্ছেন তারা।
পোল্যান্ডে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের দাবি করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা ঘটনাটি ‘অতিগুরুত্ব সহকারে’ দেখছে।
তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন-পোলিশ সীমান্তের কাছে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি।
হামলার খবরে নিজ দেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড। চুক্তি অনুসারে, এই জোটের সদস্যরা সম্মিলিত প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই পোল্যান্ডে রাশিয়ার সামান্য হামলাও ইউক্রেন যুদ্ধের পরিধি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
মাহফুজা ১৬-১১