র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় তদন্তের অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন ।
র্যাব জানায় ফারদিনকে জিম্মি করে অথবা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় চনপাড়া বস্তিতে। মাদক কারবারি রায়হান গ্যাং ফারদিন হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছে এবং এ ঘটনায় রায়হানসহ বেশ কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। র্যাবের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে এসব তথ্য।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় ফারদিন হত্যা নিয়ে এসব কথা জানায় র্যাব। সূত্রগুলো জানায়, এই ঘটনায় রায়হানসহ বেশ কয়েকজন নজরদারিতে রয়েছে, যারা বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে হত্যা করেছে।
ফারদিনের সঙ্গে মেয়েঘটিত বা মাদকের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। তাকে জিম্মি করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চনপাড়া বস্তিতে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সেদিন রামপুরা থানায় এ বিষয়ে জিডি করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় নিখোঁজের দুদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
ফারদিনের তার দুই বন্ধু বুশরা ও সংশপ্তককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রামপুরার বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ফারদিন হত্যা মামলায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
বুধবার রাতে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শেখ ফরহাদ জানান, ময়নাতদন্তে ফারদিনের মাথায় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হত্যাকাণ্ড।
হত্যা রহস্য উন্মোচনে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, এলিট ফোর্স র্যাব, সিআইডিসহ একাধিক ইউনিট কাজ করছে।
মাহফুজা ১৫-১১