আজ যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করবে সংগঠনটি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে সমাবেশ ঘিরে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নেতাকর্মীদের পদচারণায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সকাল সাড়ে ৯টায় বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত হয়।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল নির্মাণের পাশাপাশি রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকা ও যুবলীগের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
সমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও সুশৃঙ্খল রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্যানে প্রবেশের সব গেটে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এরমধ্যে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পাশের গেট দিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ও সমাবেশ বাস্তবায়নে দায়িত্বরত টিম প্রবেশ করছে। উদ্যানের বিভিন্ন গেট ও ভেতরে টহল দিচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
সর্বসাধারণের প্রবেশ দুদিন আগ থেকেই বন্ধ করা হয়েছে। যুব সমাবেশ সফল করতে মোট ১০টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যুবলীগের দপ্তর সূত্র জানায়, মূলত যুব সমাবেশ হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকে মহাসমাবেশে অন্তত ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুবলীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মহাসমাবেশের সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সংগঠনটি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আদলে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংগঠন। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
মাহফুজা ১১/১১