পিবিআই এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। এদিন তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শরীফ।
ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শরীফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন বাবুল আক্তারকে ফেনীর কারাগার থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে আনা হয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । মামলার অপর তিন আসামি হলেন, বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেছেন যে, চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। জেলে থাকা বাবুল আকতার মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপর আসামিরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডি থেকে ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়, বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন এই মামলায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার এবং বাবুলকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
মাহফুজা ১০-১১