পিবিআই এর প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় আদালত বাবুল আক্তারকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কারাগার থেকে তাকে সিএমএম আদালতে নিয়ে আসা হয়। সকালে প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত এবং শুনানির আগে তাকে এজলাসে তোলা হয়। দুপুরে রিমান্ড শুনানি হয়। আসামির পক্ষে শিশির মনির তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হেমায়েত উদ্দিন খান এর বিরোধীতা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।
বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম।
বুধবার বাবুল আক্তারকে ফেনীর কারাগার থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে আনা হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন, বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেছেন যে, চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। জেলে থাকা বাবুল আকতার মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপর আসামিরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডি থেকে ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়, বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন এই মামলায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার এবং বাবুলকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
মাহফুজা ১০-১১